বিনোদ বলিল—“মশায়, চাকরীটে আমার হয় না? গরীবের যদি কিছু উপকার করেন—সেই জন্যই আজ সকাল বেলা আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ কর্তে এসেছিলাম। আপনি না থাকায়—দেখা হয় নাই।”
কেরাণী বাবু। ও—তুমিই বুঝি খোকাকে পাঁচ টাকা দিয়ে গেছ্লে? তা—ওকি, পাঁচ টাকার কর্ম্ম? খাসা চাক্রী—সাহেবদের মত সর্ব্বদা কোট পেণ্টুলেন্ প’রে থাকা। মাইনেও ১৫৲ টাকা, আর উপরি-আয়ের ত কথাই নাই। এমন কাজটি নিতে গেলে কি এত কমে সার্লে চলে? আমি পাঁচটাকা এনেছি—তুমি ফিরে নিয়ে যাও।
কেরাণীবাবু কিন্তু টাকা ফিরাইবার কোনই উদ্যোগ করিলেন না।
বিনোদ বলিল—“আজ্ঞে আমি গরীবের ছেলে—বেশী টাকা ঘর হইতে আনিতে পারি নাই। আপনি আমার চাকরী করিয়া দিন্, আপনি যাহা চান্—তাহা আমি মাহিনা হইতে দিতে পারিব।”
কেরাণীবাবু বলিলেন—“এরূপ ধারে কারবার চ’লবে না। যদি তুমি নগদ ৫০৲ টাকা দিতে পার, তাহা হইলে আমি চেষ্টা করিয়া দেখিতে পারি। এমন কাজের জন্য ৫০৲ টাকা দেবার লোক ঢের আছে।”
বিনোদ অনেক কাকুতি মিনতি করিল, কিন্তু কেরাণীবাবু কিছুতেই রাজী হইলেন না। আসিবার সময় কেরাণীবাবু