কিন্তু পরক্ষণেই মনে হইত—সে ঘুষ দিবে কাহাকে?—সেই কেরাণী বাবুকে?—রামচন্দ্র!
মেসের একজন বলিল—“বিনোেদ! বুড়াে মুখুয্যের সঙ্গে গােলমাল করে ভাল ক’রনি। দেখছ ত, কেমন টেরটা পাচ্ছ। গােলমাল না থাক্লে, কিছু ঘুষ টুস দিয়ে এতদিন অনায়াসে এক জায়গায় পাকা বাহাল হ’য়ে যেতে পারতে। এমন কি—এই কাজটাও তােমার হ’য়ে যেতে পারত।”
সকলেই সেই কথায় সায় দিল।
বিনােদের চোখ মুখ লাল হইয়া উঠিল। সে চেঁচাইয়া বলিল—“ও বুড়াে বেটাকে ঘুষ টুস্ দেওয়া, কি খােসামুদি করা, আমা দিয়ে হবে না। আমি যদি বাপের বেটা হই—তা হলে, জোর করেই এ কাজটা আমি বুড়াের কাছ থেকে নেব। তােমরা পরে দেখ্তে পাবে।”
লােকেরা অবিশ্বাসের হাসি হাসিল।
পরদিন আফিসে যাইয়া বিনােদ কেরাণী বাবুকে বলিল— “দেখুন মুখুয্যে মশায় আপনার সঙ্গে একটা বিশেষ কথা আছে—বড়ই জরুরী। আপনি যখন আফিস থেকে্ যাবেন, তখন কথাটা শুন্তে পাবেন।”
মুখুয্যে মশায় ত তখনই কথাটা শুনিবার জন্য অস্থির। বিনােদ কিন্তু কথাটা কিছুতেই তখন বলিল না।
আফিস ভাঙ্গিবার পর, যখন বুড়াে মুখুয্যে মশায় বাহিরে আসিলেন—তখন বিনােদ তাঁহাকে একটা নিরিবিলি জায়গায়