ডাকিয়া লইয়া গেল। বলিল— “আর কিছু কথা নয় মুখুয্যে মশায়। এই বলছিলুম কি—যে চাকরীটে খালি হয়েছে, সেটা আমার চাই-ই। যদি ভাল চান্—তবে গােলমালটি না করে কালই চিঠিখানা বার করে দেবেন। না হ’লে জান্বেন—আপনার বরাতে, বউ বেটা নিয়ে পুড়ে মরা আছে। আমি আগুরির ছেলে—তাতে ডাঙ্গপিটে। আমার অসাধ্য কিছুই নাই জান্বেন। যদি না আপনাকে সবশুদ্ধ পুড়িয়ে মারি—তা হলে জান্বেন আমি বাপের বেটা নই।”
এই বলিয়া বিনােদ সেখান হইতে চলিয়া গেল। মুখুয্যে মশায় তাহাকে কতই ডাকিলেন সে ভ্রুক্ষেপও করিল না।
পরদিন বৈকালবেলায় হাসিতে হাসিতে, চিঠি লইয়া বিনােদ সবাইকে দেখাইতে লাগিল। সকলেই বলিল—“তাই ত হে বিনােদ, কেমন করে এ কাজটা করলে বল দেখি?—”
বিনােদ যাহা করিয়াছিল তাহা বলিল। সকলেই স্বীকার করিল—বিনােদ একটী ছেলে বটে!
সেই অবধি মুখুয্যেমহাশয় বিনােদকে দেখিলে, ভয়ে আধ খানা হইয়া যাইতেন। বিনােদও ভাল ষ্টেশন ছাড়া কখনও মন্দ ষ্টেশনে যায় নাই।