যোগেশবাবু মানে কর্ত্তে পারেন নাই—এমন কি টেলিগ্রাম? আফিসের লোকেরা ত টেলিগ্রামটির উপর ঝুঁকে পড়্লেন। তারপর পড়ে দেখে, সবাই সমস্বরে বল্লেন—“কি রকম?”
যোগেশ বাবু হেসে বল্লেন—“ঐ দুটো 5 থেকেইত বিপদ ঘটিয়েছে—তা নইলে কি আমি টেলিগ্রামটার মানে বুঝতে পারি নাই?”
অপরাপর অনেক জল্পনা কল্পনা করলেন, কিন্তু কিছুই মীমাংসা করতে পারলেন না। সবাই বল্লেন—“রাজা রাজড়ার কাণ্ড—এই দুটো 5 এর কোন গৃঢ় মানে আছে। যোগেশবাবু যখন এত দিনের লোক হয়ে নিজেই বুঝতে পারেন নাই, তখন আমরা মুখ্য সুখ্যু লোক হয়ে বুঝতে যে না পার্ব, তার আর আশ্চর্য্য কি?”
যোগেশবাবু একটূ গম্ভীর হয়ে, টেলিগ্রামখানি নিয়ে তার-আফিসের দিকে গেলেন।
একটি দিব্যি ফুটফুটে, টেরি কাটা বাবু তার-আফিসে কাজ করছিল। বয়স মোটে ১৮৷১৯ বৎসর। সাজ গোজ দস্তুরমত বাবু ধরণের।
যোগেশবাবু গিয়ে বল্লেন—“ওহে গিরিজা এই Message টা তুমি নিয়েছিলে নাকি?”
গিরিজা টেলিগ্রাম খানি নিয়ে বলে—“হাঁ এটাত আমিই নিয়েছিলুম। কেন, হয়েছে কি?”
যোগেশবাবু বল্লেন—“তুমি এটা যেমন করে নিয়েছ তা'তে