যোগেশ। থাক্—থাক্, তোমাকে আর কষ্ট কর্তে হবে না। আসুন ইন্চার্জ বাবু—তিনি এলেই দেখা যাবে।
এই বলে যোগেশবাবু চলে গেলেন।”
ঘণ্টাখানেক পরেই, ইন্চার্জ বাবু ডিউটিতে এলেন। যোগেশ বাবু তাঁকে টেলিগ্রাম খানা দেখালে, তিনি বল্লেন— “আপনার গোলমাল বুঝি দুটো 5 নিয়ে?—
যোগেশ বাবু ঘাড় নেড়ে তাই জানালেন। ইন্চার্জ্জ বাবু হেসে বল্লেন—“ব্যাপারটা একটু গুরুতর রকমেরই হ’য়েছে। আপনারা তারের সঙ্কেত জানেন না কাজেই বুঝে উঠ্তে পারেন নাই—কিন্তু বলিহারী বুদ্ধি আমার গিরিজা ভায়ার!”
সেই সময়ে তার-অফিসে অনেক লোক জমে ছিল। ব্যাপারটা কি হ’য়েছে তা জানবার জন্য, সকলেই উৎসুক হয়ে ইনচার্জ্জ বাবুর মুখের দিকে চেয়ে আছেন।
ইনচার্জ্জ বাবু বল্তে লাগ্লেন—“গিরিজা ভায়া আমাদের অফিসের বড় বাবুর সম্বন্ধী না হলে, যে কি কর্তেন, তা উনিই জানেন। এই দুটো 5 না হয়ে হবে—“H” অর্থাৎ—“H.H. the Moharaja of Cooch behar সঙ্কেতে “H” আর 5 মধ্যে বড় কিছু তফাৎ নাই। গিরিজা ভায়া 5 লিখেই সেরে দিয়েছেন—মানে হ’লো তার না হলো।”
অফিস শুদ্ধ লোক হো হো করে হাস্তে লাগল। “ডাউঘ্যাটার” কথাটাও জানতে ইনচার্জ্জ বাবুর বাকী থাক্ল না।
স্টেশনের নিকটেই একটা এণ্ট্রান্স স্কুল ও বোডিং ছিল।