কম্পার্টমেণ্টের মতন করে ফেল্বেন। দু চারটে হাঁড়ি সঙ্গে থাকলেই পাইখানার কাজ চলে যাবে।
শিলিগুড়ি থেকে সারাঘাট পর্য্যন্ত, একটা ইণ্টারক্লাস কম্পার্টমেণ্ট রিজার্ভ করবার জন্যও, শিলিগুড়ির ষ্টেশন মাষ্টারকে লেখা হলো।
এই রকম বন্দোবস্ত করে তাঁরা পঞ্চমীর দিন দারজিলিং থেকে রওনা হ’লেন। ছোট ভাইপোটি পাহাড় দেখ্তে দেখ্তে আসছিল; আমনে থাকায় রোগটা তত জানাল না। তাঁরা বিনা গণ্ডগোলে শিলিগুড়ি এসে পৌঁছুলেন!
শিলিগুড়িতে এসে যে কম্পার্টমেণ্ট রিজার্ভ পাওয়া গেল, তা’তে আবার পাইখানা নাই! এখন সমস্ত রাত্রি না গেলেত গাড়ী সারাঘাট পৌঁছুবে না, তবে এ দীর্ঘকালের জন্য কি বন্দোবস্ত করা যায়? দুই ভাই মহা মুস্কিলে পড়্লেন। ছুটো ছুটি করে একবার টিকিট কালেক্টার, একবার স্টেশন-মাষ্টারের কাছে গেলেন, যদি একটা পাইখানা ওয়ালা গাড়ী পাওয়া যায়।
ষ্টেশন-মাষ্টার ও টিকিট কালেক্টার অনেক চেষ্টা করলেন, কিন্তু সে রকম সুবিধামত কামরা দিতে পারলেন না। কাজেই দারজিলিংএর গাড়ীতে যেমন বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, তেমনই বন্দোবস্ত করা হলো।
* * *
হু হু শব্দে দারজিলিং মেল অন্ধকার ভেদ করে ছুটলো; শিকারপুর, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি ষ্টেশন গুলো লাফে লাফে