চোরটা যদি পাক্ড়া পড়ত, তা হলে একটা গণ্ডগোল হতই— এখন সে ভয় আর কিছু রইল না।
কথাটা কিন্তু, বড় ভাইকে লজ্জার জন্য বলতে পাল্লেন না।
* * *
দৌড়ুলে পাছে চোরটা পালায়, সেজন্য কনষ্টেবল প্রভু হাঁটার মত, অথচ একটু দ্রুতপদে চল্তে লাগলো।—চোরটা আর পালাবে কোথায়? চোরটাও বেশ নিশ্চিন্দি হয়ে যাচ্ছিল, পথে একজন রেলের পয়েণ্টম্যানের সঙ্গে দেখা হয়! হাঁড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছে, জিজ্ঞাসা করাতে সে বলেছিল “এ সমান, বড়া টিকিট কালেক্টার বাবুকো ডেরামে দেনা পড়েগা। ইস্মে মিঠাই হ্যায়।” পয়েণ্টসম্যান আর কিছু বলে নাই। এমন জিনিষপত্র বাবুদের বাড়ী গিয়ে থাকে।
কুলী বেটা নিরুপদ্রবে আপনার বাসার দিকে চল্তে লাগল।
খানিক পরে কনেষ্টবল গিয়ে, চোর বেটার হাত চেপে ধরলে। ধমক দিয়ে বল্লে—“শালে তুম বড়া হুঁসিয়ার। হাম্রা আঁখমে মাট্টী ফেঁক্কে চোরী কর্কে ভাগো গে?”
চোর বেটার মুখে কথা নাই। কনষ্টেবল কুলীটার গায়ের কাপড় খানা টেনে নিয়ে তাকে বাঁধলে। সে একা—কি জানি বেটা যদি পালিয়ে যায়? কনষ্টেবল নিজে কখন, চোর ধরে নাই, এই তার প্রথম।
হাঁড়িটের ভিতর কি আছে না আছে, দেখবার তত প্রয়োজন আছে বলে, কনস্টেবল প্রভু মনে কল্লেন না। চোরটা যখন