যা’ হোক, সকাল বেলায় সে বড় ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ ক’রলে। ডাক্তার সাহেব কিছু না বলে, তাকে অন্য একটা ষ্টেশনে, ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চিঠি দিলেন।
দুপুরের ট্রেণে সে সেই স্টেশনের দিকে রওনা হ’লো। স্টেশনে পৌঁছিয়েই, ডাক্তার খানার দিকে গেল। সেখান কার ডাক্তার একজন বাঙ্গালী বাবু। বয়স ৪৫৷৪৬ বৎসর। ডাক্তারীতে বেশ অভিজ্ঞতা ও সুনাম আছে। মুখখানা সর্ব্বদাই হাস্যোৎফুল্ল। ডাক্তার বাবুর প্রকৃতি সরল ও উদার।
সতীশ প্রণাম করে চিঠি খানা দিতেই, তিনি তাকে যত্নের সহিত বস্তে বল্লেন। তারপর চিঠিখানা পড়ে, সতীশকে তার বাড়ী কোথায়, পড়া শুনা কতদূর হয়েছে, বাপ মা আছেন কিনা, বিবাহ হয়েছে কিনা, জায়গা জমি কিরূপ আছে ইত্যাদি খুঁটি নাটি অনেক কথাই জিজ্ঞাসা করলেন। উত্তরে—সতীশ তার, বাড়ী-বর্দ্ধমান জেলায়, পড়া শুনায়—এণ্ট্রান্স পাশ, বাপ মা—বর্ত্তমান, এখনও অবিবাহিত, আর জায়গা জমি মধ্যবিত্ত গেরস্তর মত আছে জানালে, ডাক্তার বাবু ভারী প্রীত হ’লেন। তারপর বল্লেন—“আপনার পরীক্ষে ত করা যাবে, এখন আপনি এখানে এসে উঠেছেন কোথায়? চেনা শোনা কেউ আছে কি?
সতীশ বল্লে—“আজ্ঞে, না। পরিচিত এখানে কেউ নেই, তবে আজকার রাতটা হোটেলে কাটিয়ে দেবো এখন।”
ডাক্তার বাবু হেসে বল্লেন—“হোটেলে যেতে হবে না, আমার বাসাতেই থাকবেন, আহারাদিও হ’বে। এই প্রথম