পরে অন্য কথাবার্ত্তা বলতে বলতে, দুজনে বাসায় এসে পৌঁছুলেন।
রাত্রে চব্য চু্য্য, লেহ্য, পেয় আহারের আয়োজন হয়েছিল। ডাক্তার বাবুর স্ত্রী নিজেই পাক করে ছিলেন। ডাক্তার বাবু নিজে খেতে ও লোককে খাওয়াতে জানেন। তিনি সতীশকে অসঙ্কোচে ও তৃপ্তির সঙ্গে খেতে দেখে, ভারী খুসি হ’লেন।
একটি ভাল বিছানা সতীশকে ঘুমুতে দেওয়া হ’লো।
* * *
সকাল হলে সতীশ খোলা মাঠের দিকে বে’র হলো। পাড়াগাঁয়ে-লোক—পাইখানা তত পচ্ছন্দ করে না। খোলা মাঠে শৌচাদি সারবে, আর খানিকটা বেড়িয়েও নেবে, সতীশ এরূপ মনে করে বের হ’য়েছিল।
একটা ছোট নদীর ধারে শৌচাদি সারা হয়েছে, এখন দাঁতন করা চাই। মাঠে কতকগুলো বড় বড় আম ও বুনো গাছ ভিন্ন আর কিছু নাই। আম ডাল ভেঙ্গেই দাঁতন করা যাক্ মনে করে, জুতো খুলে, সতীশ একটা বড় আম গাছে উঠে পড়ল। গাছে উঠা, সাঁতার দেওয়া, কুস্তী করা, দৌড় ঝাঁপ, এ বিষয়ে সতীশ খুব পটু।
যখন আম ডাল ভেঙ্গে, সতীশ গাছে বসেই দাঁতন করছে তখন দেখে, ডাক্তার বাবু গাছটার ভারী কাছে এসে পড়েছেন। গাছে চড়ে থাকাটা ভদ্রোচিত হবে না বলে, কিছু মাত্র চিন্তা না