করে, দোতালার চেয়ে উঁচু একটা ডাল থেকে, ঝুপ্ করে নীচে লাফিয়ে পড়ল।
ডাক্তার বাবু প্রায় গাছের তলায় এসে পড়েছিলেন। হেসে বল্লেন— “সতীশ বাবু গাছে উঠে করছিলেন কি?”
সতীশবাবু একটু অপ্রতিভ হ’য়ে বল্লে—“আজ্ঞে দাঁতন খুঁজে পাচ্ছিলুম না, তাই গাছটায় উঠ্তে হয়েছিলো।”
ডাক্তার বাবু বল্লেন, “বেশ, বেশ, সব রকমই জানা দরকার। পাড়াগাঁয়ের ছেলেরা, সহরের ছেলেদের চেয়ে এ বিষয়ে খুব মজবুত।”
তার পর ডাক্তার বাবু বেড়াতে চলে গেলেন।
* * *
বেলা ৮টার সময় সতীশ পরীক্ষার জন্য ডাক্তার খানায়। গেল। ডাক্তার বাবু, তাকে কোন রকম পরীক্ষা না করেই, সার্টিফিকেট খানি তার হাতে দিলেন। সতীশের মুখের দিকে চেয়ে ডাক্তার বাবু বুঝ্তে পাল্লেন—সে বেশ একটু বিস্মিত হয়েছে।
খানিক পরে, একটু হেসে ডাক্তার বাবু বল্লেন—“সতীশ বাবু, আপনি মনে করেছেন আমি আপনার উপর দয়া করে এই সাটিফিকেট খানা দিয়েছি—তা নয়। আমাদের মেডিক্যাল সায়ান্সে অনুসারে, স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করবার নানা রকম প্রণালী আছে ও তা’তে খুব সুক্ষা ভাবে দেহের বিষয় ধরা যায় বটে, কিন্তু তবুও তা সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়। তারপরে ডাক্তার অনুসারে পরীক্ষার