বড় তারবাবু একটা টেলিগ্রাফের ফারম নিয়ে, ‘প্রাকটিশ্’ খানি লিখলেন—
—“দুই বোতল গঙ্গার (এখানে পদ্মার) জল আজ রাত্রিকার দারজিলিং মেলে নিশ্চয়ই পাঠাইয়া দিবে।”
এই ‘প্র্যাকটিশ’ টা দেওয়া হলো—সারাঘাটের বড় তারবাবু হারুবাবুকে।
দারজিলিং মেল ছাড়িবার বেশী বিলম্ব নাই, এমন সময় প্রাক্টিশ্ খানা সারাঘাটে পৌঁছিল। হারুবাবু তখন আফিসে ছিলেন না—স্টেশনে ঘুরিয়া বেড়াইতে ছিলেন। আর সময় বেশী নাই দেখিয়া ছোট তারবাবু হারুবাবুর অপেক্ষা না করিয়া, সোরাব্জীর হোটেল থেকে দুইটী খালি বোতল চাহিয়া লইয়া পদ্মার জল ভরিয়া লইয়া আসিলেন।
গার্ডের মারফত যখন পাঠাইতে যাইবেন, তখন হারুবাবুর সহিত সাক্ষাৎ হইল। ছোট তার বাবু বলিলেন—“মাষ্টার মশায় সান্তাহার থেকে দুই বোতল গঙ্গাজল পাঠাবার ‘প্রাকটিশ’ দিয়েছিলেন। আপনি ছিলেন না—কাজেই আমি দুটো বোতল জল পুরে, এই গার্ড সাহেবকে দিতে যাচ্ছি। নিশ্চয়ই কোন পূজো আচ্ছা হ’বে—তা না হলে কি, দারজিলিং মেলেই গঙ্গাজল পাঠাতে বলেছেন?”
হারুবাবু জিজ্ঞাসা করলেন—“প্র্যাকটিশ্’টা মধু খুড়ো দিয়েছেন ত’? তা হলে—তুমি বোতল দুটো আফিসে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। এখন সময় নেই—ব্যাপারটা পরে বল্ব।”