পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪৪
সঞ্চয়িতা

লইয়া বন্ধু হাসিতেছে, শিশুকে লইয়া মাতা পালন করিতেছে, একটা গোরু আর-একটা গোরুর পাশে দাঁড়াইয়া তাহার গা চাটিতেছে, ইহাদের মধ্যে যে-একটি অন্তহীন অপরিমেয়তা আছে তাহাই আমার মনকে বিস্ময়ের আঘাতে যেন বেদনা দিতে লাগিল। এই সময়ে যে লিথিয়াছিলাম—

হৃদয় আজি মোর কেমনে গেল খুলি,
জগৎ আসি সেথা করিছে কোলাকুলি—

ইহা কবিকল্পনার অত্যুক্তি নহে। বস্তুত, যাহা অনুভব করিয়াছিলাম তাহা প্রকাশ করিবার শক্তি আমার ছিল না।

৩৯ রাহুর প্রেম। প্রথমাবধি সংক্ষিপ্ত ও সংস্কৃত পাঠ। পরবর্তী সংস্করণে কবি আরও বহু পরিবর্তন করেন।

৪২।৪৪ পুরাতন। নূতন॥ যথাক্রমে, ভারতী পত্রিকার ১২৯১ চৈত্র ও ১২৯২ বৈশাখ সংখ্যায় প্রকাশিত।

৪৬ বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর। বালক পত্রের ১২৯২ বৈশাখে মুদ্রিত।

৫০ হৃদয়-আকাশ। ‘ধরা দিয়েছি গো আমি’ গানের কথায় এই কবিতারই ১-৮ ছত্রের ঈষৎ-পরিবর্তিত রূপ পাওয়া যায়।

৫৭।৯৭ বিরহানন্দ। ক্ষণিক মিলন॥ ‘ভারতী ও বালক’ পত্রিকার ১২৯৪ জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় ‘বিফল মিলন’ কবিতা তুলনীয়। উহার তৃতীয় স্তবক হইতে শেষ স্তবক পর্যন্ত লইয়া মানসী কাব্যের ‘বিরহানন্দ’ কবিতা। অবশ্য, সঞ্চয়িতায় মাঝের দুটি স্তবক নাই। ‘বিফল মিলন’ কবিতার দ্বিতীয় স্তবকই মানসীর অন্তর্গত ‘ক্ষণিক মিলন’ কবিতার তৃতীয় স্তবক। সঞ্চয়িতায় ‘ক্ষণিক মিলন’ কবিতার শেষ স্তবক নাই।

৬৪ নিষ্ফল কামনা। সঞ্চয়িতায়-বর্জিত প্রথম স্তবক—

বৃথা এ ক্রন্দন।
বৃথা এ অনল-ভরা দুরন্ত বাসনা॥

৮১ গুপ্তপ্রেম। এখানে, মানসীতে প্রকাশিত কবিতার ছয়টি স্তবক বর্জিত।

৮৯ ভৈরবী গান। ঐরূপ এই সংকলনে একটি স্তবক বর্জিত।

১০৭ আমার সুখ। মানসী কাব্যের শেষ কবিতার শেষ দুই স্তবক।