পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৭১
সঞ্চয়িতা
৮৭১
               গ্রন্থপরিচয়               ৮৭১
    তাই তাকে নিয়ে এত গভীর কৌতুহল।
     যার দিকে তাকাই
       চক্ষু তাকে স্াকৃড়িয়ে থাকে
         পুষ্পলগ্ন ভ্রমরের মতো ॥
 আমার নগ্ন চিত্ত আজ মগ্ন হয়েছে
     সমস্তের মাঝে!
         জনস্রতির মলিন হাতের দাগ লেগে
             যার রূপ হয়েছে অবলুপ্ত,
 যা পরেছে তুচ্ছতার মলিন চীর,
     তার সে জীর্ণ উত্তরীয় আন্দ গেল খসে।
        দেখা দিল সে অস্তিত্বের পূর্ণ মূল্যে,
           দেখ দিল সে অনির্বচনীয়তায়।
        যে বোবা! আজ পর্বস্ত ভাষা পায় নি
      জগতের সেই অতি প্রকাণ্ড উপেক্ষিত
  আমার সামনে খুলেছে তার অচল মৌন-_
      ভোর-হয়ে-ওঠা বিপুল রান্রির প্রান্তে
          প্রথম চঞ্চল বাণী জাগল যেন 1
     আমার এতকালের কাছের জগতে
 আমি ভ্রমণ করতে বেরিয়েছি দূরের পথিক ।
    তার আধুনিকের ছিন্নতার ফাকে ফাকে
       দেখা দিয়েছে চিরকালের রহস্ত ;
          সহমরণের বধূ
   বুঝি এমনি করেই দেখতে পায়
     মৃত্যুর ছিন্ন পর্দার ভিতর দিয়ে
        নৃতন চোখে
           চিরজীবনের অল্লান হ্বরূপ ॥