পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
মেঘনাদবধ কাব্য

রাক্ষসকুলের ত্রাস, লঙ্কার চৌদিকে।
হৃষ্টমতি দুইজন চলিলা ফিরিয়া,
যথায় শিবিরে বীর ধীর দাশরথি।
হাসিয়া কৈলাসে উমা কহিলা সম্ভাষি
বিজয়ারে;—“লঙ্কাপানে দেখ লো চাহিয়া
বিধুমুখি! বীরবেশে পশিছে নগরে
প্রমীলা, সঙ্গিনীদল সঙ্গে বরাঙ্গনা।
সুবর্ণ-কুঞ্চুক-বিভা উঠিছে আকাশে!
সবিস্ময়ে, দেখ, ওই দাঁড়ায়ে নৃমণি
রাঘব, সৌমিত্রি, মিত্র বিভীষণ আদি
বীর যত! হেন রূপ কার নর-লোকে?
সাজিনু এ বেশে আমি নাশিতে দানবে
সত্যযুগে। ওই শোন ভয়ঙ্কর ধ্বনি!
শিঞ্জিনী আকর্ষি রোষে টঙ্কারিছে বামা
হুঙ্কারে। বিকট ঠাট কাঁপিছে চৌদিকে!
দেখ লো নাচিছে চূড়া কবরী-বন্ধনে।
তুরঙ্গম আস্কন্দিতে উঠিছে পড়িছে
গৌরাঙ্গী, হায় রে, মরি, তরঙ্গ হিল্লোলে
কনক-কমল যেন মানস-সরসে!”
উত্তরে বিজয়া সখী;—“সত্য যা কহিলে
হৈমবতি! হেন রূপ কার নরলোকে?
জানি আমি বীর্য্যবতী দানবনন্দিনী