পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
মেঘনাদবধ কাব্য

কে আছে সীতার আর এ অররু-পুরে?
“পঞ্চবটী বনে মোরা গোদাবরী-তটে
ছিনু সুখে। হায়, সখি, কেমনে বর্ণিব
সে কান্তার-কান্তি আমি? সতত স্বপনে
শুনিতাম বন-বীণা বন-দেবী-করে;
সৌরকর রাশি-বেশে সুরবালা-কেলি
পদ্মবনে; কভু সাধ্বী-ঋষিবংশবধূ
সুহাসিনী, আসিতেন দাসীর কুটীরে,
সুধাংশুর অংশু যেন অন্ধকার ধামে।
অজিন (রঞ্জিত, আহা, কত শত রঙে!)
পাতি বসিতাম কভু দীর্ঘ তরু-মূলে,
সখী ভাবে সম্ভাষিয়া ছায়ায়; কভু বা
কুরঙ্গিণী-সঙ্গে রঙ্গে নাচিতাম বনে;
গাইতাম গীত, শুনি কোকিলের ধ্বনি।
নব-লতিকার, সতি, দিতাম বিবাহ
তরুসহ; চুম্বিতাম, মঞ্জরিত যবে
দম্পতি, মঞ্জরীবৃন্দে, আনন্দে সম্ভাষি
নাতিনী বলিয়া সবে! গুঞ্জরিলে অলি,
নাতিনী-জামাই বলি বরিতাম তারে।
কভু বা প্রভুর সহ ভ্রমিতাম সুখে
নদীতটে; দেখিতাম তরল-সলিলে
নূতন গগন যেন, নব তারাবলী,