পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
মেঘনাদবধ কাব্য

চরিতেছিল হরিণী। সহসা শুনিনু
ঘোর-নাদ; ভয়াকুলা দেখিনু চাহিয়া
ইরম্মদাকৃতি বাঘ ধরিল মৃগীরে!
‘রক্ষ, নাথ,’ বলি আমি পড়িনু চরণে।
শরানলে শূরশ্রেষ্ঠ ভস্মিলা শার্দ্দূলে,
মুহূর্ত্তে। যতনে তুলি বাঁচাইনু আমি
বন-সুন্দরীরে সখি! রক্ষঃকুল-পতি,
সেই শার্দ্দূলের রূপে, ধরিল আমারে!
কিন্তু কেহ না আইল বাঁচাইতে, ধনি!
এ অভাগী-হরিণীরে এ বিপত্তি-কালে!
পূরিনু কানন আমি হাহাকার রবে।
শুনিনু ক্রন্দন-ধ্বনি; বনদেবী বুঝি,
দাসীর দশায় মাতা কাতরা, কাঁদিলা!
কিন্তু বৃথা সে ক্রন্দন! হুতাশন তেজে
গলে লৌহ; বারি-ধারা দমে কি তাহারে?
অশ্রুবিন্দু মানে কি লো কঠিন যে হিয়া?
“দূরে গেল জটাজূট; কমণ্ডলু দূরে!
রাজরথি-বেশে মূঢ় আমায় তুলিল
স্বর্ণ-রথে। কহিল যে কত দুষ্টমতি,
কভু রোষে গর্জ্জি, কভু সুমধুর স্বরে,
‘স্মরিলে, শরমে ইচ্ছি মরিতে, সরমা!
“চালাইল রথ রথী। কালসর্প-মুখে