পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
মেঘনাদবধ কাব্য

আছাড় খাইয়া, যেন ঘোর ভূকম্পনে।
আরাধিনু বসুধারে,—‘এ বিজন দেশে,
মা আমার, হয়ে দ্বিধা, তর বক্ষঃস্থলে
লহ অভাগীরে, সাধ্বি! কেমনে সহিছ
দুঃখিনী মেয়ের জ্বালা? এস শীঘ্র করি।
ফিরিয়া আসিবে দুষ্ট; হায় মা, যেমতি
তস্কর আইসে ফিরি, ঘোর নিশাকালে,
পুতি যথা রত্নরাশি রাখে সে গোপনে—
পরধন। আসি মোরে তরাও, জননি!’
“বাজিল তুমুল যুদ্ধ গগনে, সুন্দরি!
কাঁপিলা বসুধা; দেশ পূরিল আরবে।
অচেতন হৈনু পুনঃ। শুন, লো ললনে!
মন দিয়া শুন, সই, অপূর্ব্ব-কাহিনী।—
দেখিনু স্বপনে আমি,বসুন্ধরা সতী
মা আমার! দাসী-পাশে আসি দয়াময়ী
কহিলা, লইয়া কোলে, সুমধুর বাণী;
‘বিধির ইচ্ছায়, বাছা, হরিছে গো তোরে
রক্ষোরাজ! তোর হেতু সবংশে মজিবে
অধম! এ ভার আমি সহিতে না পারি,
ধরি গো গর্ভে তোরে লঙ্কা বিনাশিতে!
যে কুক্ষণে তোর তনু ছুঁইল দুর্ম্মতি
রাবণ, জানিনু আমি, সুপ্রসন্ন বিধি