পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ সর্গ
১১৯

ক্রন্দন। কহিনু মায়ে, ধরি পা-দুখানি,—
রক্ষঃকুল-দুঃখে বুক ফাটে, মা, আমার,
পরেরে কাতর দেখি সতত কাতরা
এ দাসী; ক্ষম, মা, মোরে। হাসিয়া কহিলা
বসুধা,—‘লো রঘুবধু, সত্য যা দেখিলি!
লণ্ডভণ্ড করি লঙ্কা দণ্ডিবে রাবণে
পতি তোর! দেখ্‌ পুনঃ নয়ন মেলিয়া।’
“দেখিনু, সরমা সখি, সুরবালাদলে,
নানা আভরণ হাতে মন্দারের মালা,
পট্টবস্ত্র! হাসি তারা বেড়িল আমারে।
কেহ কহে,—‘উঠ, সতি, হত এত দিনে
দুরন্ত রাবণ রণে।’ কেহ কহে,—‘উঠ,
রঘুনন্দনের ধন, উঠ, ত্বরা করি,
অবগাহ দেহ, দেবি, সুবাসিত জলে,
পর নানা আভরণ। দেবেন্দ্রাণী শচী
দিবেন সীতায় দান আজি সীতানাথে।’
“কহিনু, সরমা সখি, করপুটে আমি;
কি কাজ, হে সুরবালা, এ বেশ-ভূষণে
দাসীর? যাইব আমি যথা কান্ত মম
এ দশায়, দেহ আজ্ঞা; কাঙ্গালিনী সীতা,
কাঙ্গালিনীবেশে তারে দেখুন নৃমণি।’
“উত্তরিলা সুরবালা;—‘শুন লো মৈথিলি!