পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ সর্গ
১২১

সবংশে। এখন কহ, কি ঘটিল পরে।
অসীম লালসা মোর শুনিতে কাহিনী।”
আরম্ভিলা পুনঃ সতী সুমধুর স্বরে;—
“মিলি আঁখি, শশিমুখি, দেখিনু সম্মুখে
রাবণে, ভূতলে হায়, সে বীর কেশরী,
তুঙ্গ-শৈলশৃঙ্গ যেন চূর্ণ বজ্রাঘাতে!
“কহিল রাঘব-রিপু,—‘ইন্দীবর-আঁখি
উন্মীলি, দেখ লো চেয়ে, ইন্দু নিভাননে!
রাবণের পরাক্রম। জগৎ-বিখ্যাত
জটায়ু হীনায়ু আজি মোর ভুজ-বলে!
নিজ দোষে মরে মূঢ় গরুড়-নন্দন।
কে কহিল মোর সাথে যুঝিতে বর্ব্বরে?’
‘ধর্ম্ম কর্ম্ম সাধিবারে মরিনু সংগ্রামে,
রাবণ’;—কহিলা শূর অতি মৃদু স্বরে—
‘সম্মুখ সমরে পড়ি যাই দেবালয়ে!
কি দশা ঘটিবে তোর, দেখ্ রে ভাবিয়া!
শৃগাল হইয়া, লোভি, লোভিলি সিংহীরে!
কে তোরে রক্ষিবে, রক্ষঃ! পড়িলি সঙ্কটে,
লঙ্কানাথ, করি চুরি এ নারী-রতনে।”
“এতেক কহিয়া বীর নীরব হইলা;
তুলিল আমায় পুনঃ রথে লঙ্কাপতি।
“কৃতাঞ্জলি-পুটে কাঁদি কহিনু স্বজনি,