পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
মেঘনাদদধ কাব্য

ইন্দ্রাণীর কর-পদ্ম ধরিয়া কৌতুকে,
প্রবেশিলা মহা-ইন্দ্র শয়ন-মন্দিরে—
সুখালয়! চিত্রলেখা, ঊর্ব্বশী, মেনকা,
রম্ভা, নিজ গৃহে সবে পশিলা সত্বরে।
খুলিলা নূপুর, কাঞ্চী, কঙ্কণ, কিঙ্কিণী
আর যত আভরণ; খুলিলা কাঁচলি;
শুইলা ফুল-শয়নে সৌর-কর-রাশি-
রূপিণী সুর-সুন্দরী। সুস্বনে বহিল
পরিমলময় বায়ু, কভু বা অলকে,
কভু উচ্চ-কুচে, কভু ইন্দু-নিভাননে
করি কেলি, মত্ত যথা মধুকর, যবে
প্রফুল্লিত-ফুলে অলি পায় বনস্থলে!
স্বর্গের কনক-দ্বারে উতরিলা মায়া
মহাদেবী; সুনিনাদে আপনি খুলিল
হৈমদ্বার। বাহিরিয়া বিশ্ব-বিমোহিনী,
স্বপন-দেবীরে স্মরি, কহিলা সুস্বরে;
“যাও তুমি লঙ্কাধামে, যথায় বিরাজে
শিবিরে সৌমিত্রি-শূর। সুমিত্রার বেশে
বসি শিরোদেশে তার, কহিও, রঙ্গিণি,
এই কথা,—‘উঠ, বৎস, পোহাইল রাতি।
লঙ্কার উত্তর-দ্বারে বনরাজী-মাঝে
শোভে সরঃ; কলে তার চণ্ডীর দেউল