পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
মেঘনাদবধ কাব্য

কিন্তু এ সবার পৃষ্ঠে দুলিছে যে ফণী
মণিময়, হেরি তারে কাম-বিষে জ্বলে
পরাণ। হেরিলে ফণী পলায় তরাসে,
যার দৃষ্টিপথে পড়ে কৃতান্তের দূত;
হায় রে, এ ফণী হেরি কে না চাহে এরে
বাঁধিতে গলায়, শিরে উমাকান্ত যথা,
ভুজঙ্গ-ভূষণ শূলী? গাইছে জাগিয়া
তরুশাখে মধুসখা; খেলিছে অদূরে
জলযন্ত্র; সমীরণ বহিছে কৌতুকে,
পরিমল-ধন লুটি কুসুম-আগারে।
অবিলম্বে বামাদল, ঘিরি অরিন্দমে,
গাইল;—“স্বাগত, ওহে রঘুচূড়ামণি!
নহি নিশাচরী মোরা, ত্রিদিব নিবাসী।
নন্দন-কাননে, শূর, সুবর্ণ-মন্দিরে
করি বাস, করি পান অমৃত উল্লাসে
অনন্ত বসন্ত জাগে যৌবন-উদ্যানে;
উরজ কমল-যুগ প্রফুল্ল সতত;
না শুকায় সুধারস অধর সরসে,
অমরী আমরা, দেব! বরিনু তোমারে
আমা সবে; চল, নাথ, আমাদের সাথে।
কঠোর তপস্যা নর করে যুগে যুগে
লভিতে যে সুখভোগ, দিব তা তোমারে,