পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪০
মেঘনাদবধ কাব্য

পীঠতলে ফুলরাশি; বাজিছে ঝাঁঝরী,
শঙ্খ ঘণ্টা; ঘটে বারি। ধূপ, ধূপদানে
পুড়ি, আমোদিছে দেশ, মিশিয়া সুরভি
কুসুম-বাসের সহ। পশিয়া সলিলে
শূরেন্দ্র, করিলা স্নান; তুলিলা যতনে
নীলোৎপল; দশদিশ পূরিল সৌরভে।
প্রবেশি মন্দিরে তবে বীরেন্দ্র কেশরী
সৌমিত্রি, পূজিলা বলী সিংহবাহিনীরে
যথাবিধি। “হে বরদে!” কহিলা সাষ্টাঙ্গে
প্রণমিয়া রামানুজ,—“দেহ বর দাসে।
নাশি রক্ষঃশূরে, মাতঃ, এই ভিক্ষা মাগি।
মানব-মনের কথা, হে অন্তর্য্যামিনি!
তুমি যত জান, হায়, মানব-রসনা
পারে কি কহিতে তত? যত সাধ মনে,
পূরাও সে সবে, সাধ্বি!” গরজিল দূরে
মেঘ! বজ্রনাদে লঙ্কা উঠিল কাঁপিয়া
সহসা। দুলিল, যেন ঘোর ভূকম্পনে,
কানন, দেউল, সরঃ—থর থর থরে!
সম্মুখে লক্ষ্মণ-বলী দেখিলা কাঞ্চন-
সিংহাসনে মহামায়ে! তেজঃ রাশি রাশি
ধাঁধিল নয়ন ক্ষণ বিজলী ঝলকে।
আঁধার দেউল বলী হেরিলা সভয়ে