পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
মেঘনাদবধ কাব্য

প্রবেশিলা পুনঃ গৃহে। শিবিকা ত্যজিয়া,
পদ-ব্রজে যুবরাজ চলিলা কাননে—
ধীরে ধীরে রথিবর চলিলা একাকী
কুসুম-বিবৃত পথে, যজ্ঞশালা-মুখে।
সহসা নূপুর-ধ্বনি ধ্বনিল পশ্চাতে।
চির-পরিচিত, মরি, প্রণয়ীর কাণে
প্রণয়িনী-পদশব্দ। হাসিলা বীরেন্দ্র,
সুখে বাহু-পাশে বাঁধি ইন্দীবরাননা
প্রমীলারে। “হায়! নাথ,” কহিলা সুন্দরী;—
“ভেবেছিনু, যজ্ঞগৃহে যাব তব সাথে,
সাজাইব বীর-সাজে তোমায়। কি করি?
বন্দী করি স্ব-মন্দিরে রাখিলা শাশুড়ী।
রহিতে নারিনু তবু পুনঃ নাহি হেরি
পদযুগ। শুনিয়াছি, শশিকলা না কি
রবি-তেজে সমুজ্জ্বলা; দাসীও তেমতি,
হে রাক্ষস-কুল-রবি! তোমার বিহনে,
আঁধার জগৎ, নাথ, কহিনু তোমারে!”
মুকুতামণ্ডিত বুকে নয়ন বর্ষিল
উজ্জ্বলতর মুকুতা! শতদল-দলে
কি ছার শিশির-বিন্দু ইহার তুলনে?
উত্তরিলা বীরোত্তম;—“ এখনি আসিব,
বিনাশি রাঘবে রণে, লঙ্কা সুশোভিনি!