পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
মেঘনাদবধ কাব্য

কি লজ্জার আর তুই মুখ দেখাইবি,
অভিমানি? সরু মাঝা তোর রে কে বলে,
রাক্ষস-কুল-হর্য্যক্ষে হেরে যার আঁখি,
কেশরি? তুইও তেঁই সদা বনবাসী!
নাশিস্ বারণে তুই; এ বীর-কেশরী
ভীম-প্রহরণে রণে বিমুখে বাসবে,
দৈত্য-কুল-নিত্য-অরি, দেবকুল-পতি।”
এতেক কহিয়া সতী, কৃতাঞ্জলি-পুটে,
আকাশের পানে চাহি আরাধিলা কাঁদি;—
“প্রমীলা, তোমার দাসী, নগেন্দ্র-নন্দিনি!
সাধে তোমা, কৃপা-দৃষ্টি কর লঙ্কাপানে,
কৃপাময়ি! রক্ষঃ-শ্রেষ্ঠে রাখ এ বিগ্রহে।
অভেদ্য কবচ-রূপে আবর শূরেরে।
যে ব্রততী সদা, সতি, তোমারি আশ্রিত,
জীবন তাহার জীবে ওই তরুরাজে!
দেখো, মা, কুঠার যেন না পর্শে উহারে।
আর কি কহিবে দাসী? অন্তর্য্যামী তুমি।
তোমা বিনা, জগদম্বে! কে আর রাখিবে?
বহে যথা সমীরণ পরিমল-ধনে
রাজালয়ে, শব্দবহ আকাশ বহিলা
প্রমীলার আরাধনা কৈলাস-সদনে।
কাঁপিলা সভয়ে ইন্দ্র। তা দেখি, সহসা