পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
মেঘনাদবধ কাব্য

পুত্ত্রশোক! চিরস্থায়ী, হায়, সে বেদনা,—
সর্ব্বহরকাল তাহে না পারে হরিতে।
কি কবে রাবণ, সতি, শুনি হত রণে
পুত্ত্রবর? অকস্মাৎ মরিবে, যদ্যপি
নাহি রক্ষি রক্ষে আমি রুদ্রতেজোদানে।
তুষিনু বাসবে, সাধ্বি! তব অনুরোধে;
দেহ অনুমতি এবে তুষি দশাননে।”
উত্তরিলা কাত্যায়নী; “যাহা ইচ্ছা কর,
ত্রিপুরারি! বাসবের পূরিবে বাসনা,
ছিল ভিক্ষা তব পদে, সফল তা এবে।
দাসীর ভকত প্রভু, দাশরথি-রথী;
এ কথাটি, বিশ্বনাথ! থাকে যেন মনে!
আর কি কহিবে দাসী ও পদ-রাজীবে?”
হাসিয়া স্মরিলা শূলী বীরভদ্রশূরে।
ভীষণ-মূরতি রথী প্রণমিল পদে
সাষ্টাঙ্গে, কহিলা হর; “গতজীব রণে
আজি ইন্দ্রজিৎ, বৎস! পশি যজ্ঞাগারে,
নাশিল সৌমিত্রি তারে উমার প্রসাদে।
ভয়াকুল দূতকুল এ বারতা দিতে
রক্ষোনাথে। বিশেষতঃ, কি কৌশলে বলী
সৌমিত্রি নাশিলা রণে দুর্ম্মদ-রাক্ষসে,
নাহি জানে রক্ষোদূত। দেব ভিন্ন, রথি!