পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৬
মেঘনাদবধ কাব্য

অট্টালিকা, তরুরাজী; জীবন ত্যজিল
উচ্চ কাঁদি জীবকুল, প্রলয়ে যেমতি!
মহাভয়ে ভীত মহী কাঁদিয়া চলিলা
বৈকুণ্ঠে। কনকাসনে বিরাজেন যথা
মাধব, প্রণমি সাধ্বী আরাধিলা দেবে;—
“বারে বারে অধিনীরে, দয়াসিন্ধু তুমি,
হে রমেশ! তরাইলা বহু মূর্ত্তি ধরি;—
কুর্ম্মপৃষ্ঠে তিষ্ঠাইলা দাসীরে প্রলয়ে
কূর্ম্মরূপে; বিরাজিনু দশনশিখরে
আমি, (শশাঙ্কের দেহ কলঙ্কের রেখা
সদৃশী) বরাহমূর্ত্তি ধরিলা যে কালে,
দীনবন্ধু! নরসিংহবেশে বিনাশিয়া
হিরণ্যকশিপু দৈত্য, জুড়ালে দাসীরে
খর্ব্বিলা বলির গর্ব্ব খর্ব্বাকারছলে,
বামন! বাঁচিনু, প্রভু, তোমার প্রসাদে।
আর কি কহিব নাথ? পদাশ্রিতা দাসী,
তেঁই পাদপদ্মতলে এ বিপত্তিকালে।”
হাসি সুমধুর স্বরে সুধিলা মুরারি;—
“কি হেতু কাতরা আজি, কহ জগন্মাতঃ
বসুধে? আয়াসে আজি কে, বৎসে, তোমারে?
উত্তরিলা কাঁদি মহী;—“কি না তুমি জান,
সর্ব্বজ্ঞ। লঙ্কার পানে দেখ প্রভু চাহি।