পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম সর্গ
২১৩

ইন্দ্রজিৎ।” স্মরি পুত্ত্রে রক্ষঃকুলনিধি,
সরোষে গর্জ্জিয়া রাজা কহিলা গভীরে;—
“চালাও, হে সূত! রথ, যথা বজ্রপাণি
বাসব।” চলিল রথ মনোরথগতি।
পলাইল রঘুসৈন্য, পলায় যেমনি
মদকল-করীরাজে হেরি উর্দ্ধশ্বাসে
বনবাসী। কিম্বা যথা ভীমাকৃতি-ঘন,
বজ্র-অগ্নিপূর্ণ, যবে উড়ে বায়ুপথে
ঘোরনাদে, পশুপক্ষী পলায় চৌদিকে
আতঙ্কে! টঙ্কারি ধনুঃ, তীক্ষ্ণতর-শরে
মুহূর্ত্তে ভেদিলা ব্যূহ বীরেন্দ্র-কেশরী,
সহজে প্লাবন যথা ভাঙে ভীমাঘাতে
বালিবন্ধ! কিম্বা যথা ব্যাঘ্র নিশাকালে
গোষ্ঠবৃতি। অগ্রসরি শিখিধ্বজ-রথে,
শিঞ্জিনী আকর্ষি রোষে তারকারি বলী
রোধিলা সে রথগতি। কৃতাঞ্জলিপুটে
নমি শূরে, লঙ্কেশ্বর কহিলা গম্ভীরে;—
“শঙ্করী-শঙ্করে, দেব, পূজে দিবানিশি
কিঙ্কর। লঙ্কায় তবে বৈরিদল-মাঝে
কেন আজি হেরি তোমা? নরাধম রামে
হেন আনুকুল্য দান কর কি কারণে,
কুমার? রথীন্দ্র তুমি; অন্যায়-সমরে