পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৪
মেঘনাদবধ কাব্য

মারিল নন্দনে মোর লক্ষ্মণ; মারিব
কপটসমরী মূঢ়ে; দেহ পথ ছাড়ি!”
কহিলা পার্ব্বতীপুত্ত্র; “রক্ষিব লক্ষ্মণে,
রক্ষোরাজ! আজি আমি দেবরাজাদেশে।
বাহুবলে, বাহুবল, বিমুখ আমারে,
নতুবা এ মনোরথ নারিবে পূর্ণিতে!”
সরোষে, তেজস্বী আজি মহারুদ্রতেজে,
হুঙ্কারি হানিল অস্ত্র রক্ষঃকুলনিধি
অগ্নিসম, শরজালে কাতরিয়া রণে
শক্তিধরে! বিজয়ারে সম্ভাষি অভয়া
কহিলা; “দেখ্‌লো সখি! চাহি লঙ্কাপানে,
তীক্ষ্ণ-শরে রক্ষেশ্বর বিঁধিছে কুমারে
নির্দ্দয়; আকাশে দেখ, পক্ষীন্দ্র হরিছে
দেবতেজঃ; যা লো তুই সৌদামিনীগতি,
নিবার্ কুমারে, সই। বিদরিছে হিয়া
আমার, লো সহচরি। হেরি রক্তধারা
বাছার কোমল দেহে। ভকত-বৎসল
সদানন্দ; পুত্রাধিক স্নেহেন ভকতে;
তেঁই সে রাবণ এবে দুর্ব্বার সমরে,
স্বজনি!” চলিলা আশু সৌরকররূপে
নীলাম্বরপথে দূতী। সম্বোধি কুমারে
বিধুমুখী, কর্ণমূলে কহিলা;—“সম্বর