পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৮
মেঘনাদবধ কাব্য

কি উপায়ে ভাই তার জীবন লভিবে,
আবার; এ নিরানন্দ ত্যজ চন্দ্রাননে!
দেহ এ ত্রিশূল মম মায়ায় সুন্দরি!
তমোময় যমদেশে অগ্নিস্তম্ভসম
জ্বলি উজ্জ্বলিবে দেশ; পূজিবে ইহারে
প্রেতকুল; রাজদণ্ডে প্রজাকুল যথা। ”
কৈলাসসদনে দুর্গা স্মরিলা মায়ারে।
অবিলম্বে কুহকিনী আসি প্রণমিলা
অম্বিকায়; মৃদুস্বরে কহিলা পার্ব্বতী;—
“যাও তুমি লঙ্কাধামে, বিশ্ববিমোহিনি!
কাঁদিছে মৈথিলীপতি সৌমিত্রির শোকে
আকুল; সম্বোধি তারে সুমধুরভাষে,
লহ সঙ্গে প্রেতপুরে; দশরথ পিতা,
আদেশিবে কি উপায়ে লভিবে সুমতি
সৌমিত্রি জীবন পুনঃ, আর যোধ যত,
হত এ নশ্বর-রণে! ধর পদ্মকরে
ত্রিশূলীর শূল, সতি! অগ্নিস্তম্ভসম
তমোময় যমদেশে জ্বলি উজ্জ্বলিবে
অস্ত্রবর।” প্রণমিয়া উমায় চলিলা
মায়া। ছায়াপথে ছায়া পলাইলা দূরে
রূপের ছটায় যেন মলিন! হাসিল
তারাবলী—মণিকুল সৌরকরে যথা।