পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম সর্গ
২২৯

পশ্চাতে খমুখে রাখি আলোকের রেখা,
সিন্ধুনীরে তরী যথা, চলিলা রূপসী
লঙ্কাপানে। কতক্ষণে উতরিলা দেবী
যথায় সসৈন্যে ক্ষুণ্ণ-রঘুকুলমণি।
পূরিল কনকলঙ্কা স্বর্গীয় সৌরভে।
রাঘবের কর্ণমূলে কহিলা জননী;—
“মুছ অশ্রুবারিধারা, দাশরথি রথি!
বাঁচিবে প্রাণের ভাই; সিন্ধুতীর্থজলে
করি স্নান, শীঘ্র তুমি চল মোর সাথে
যমালয়ে; সশরীরে পশিবে, সুমতি!
তুমি প্রেতপুরে আজি শিবের প্রসাদে।
পিতা দশরথ তব দিবেন কহিয়া,
কি উপায়ে সুলক্ষণ লক্ষ্মণ লভিবে
জীবন। হে ভীমবাহো! চল শীঘ্র করি।
সৃজিব সুরঙ্গ-পথ; নির্ভয়ে সুরথি!
পশ তাহে; যাব আমি পথ দেখাইয়া
তবাগ্রে। সুগ্রীব আদি নেতৃপতি যত,
কহ সবে, রক্ষা তারা করুক লক্ষ্মণে।”
সবিস্ময়ে রাঘবেন্দ্র সাবধানি যত
নেতৃনাথে সিন্ধুতীরে, চলিলা সুমতি—
মহাতীর্থ। অবগাহি পূতস্রোতে দেহ,
মহাভাগ, তুষি দেব-পিতৃলোক আদি