পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩০
মেঘনাদবধ কাব্য

তর্পণে, শিবিরদ্বারে উতরিলা ত্বরা
একাকী। উজ্জ্বল এবে দেখিলা নৃমণি
দেবতেজঃপুঞ্জে গৃহ। কৃতাঞ্জলিপুটে,
পুষ্পাঞ্জলি দিয়া রথী পূজিলা দেবীরে।
ভূষিয়া, ভীষণ তনু সুবীর-ভূষণে
বীরেশ, সুড়ঙ্গপথে পশিলা সাহসে—
কি ভয় তাহারে, দেব সুপ্রসন্ন যারে?
চলিলা রাঘবশ্রেষ্ঠ, তিমির কানন—
পথে পথী চলে যথা, যবে নিশাভাগে
সুধাংশুর অংশু পশি হাসে সে কাননে।
আগে আগে মায়াদেবী চলিলা নীরবে।
কতক্ষণে রঘুবর শুনিলা চমকি
কল্লোল, সহস্র শত সাগর উথলি
রোষে কল্লোলিছে যেন! দেখিলা সভয়ে
অদূরে ভীষণ-পুরী, চিরনিশাবৃত;
বহিছে পরিখারূপে বৈতরণী-নদী
বজ্রনাদে;—রহি রহি উথলিছে বেগে
তরঙ্গ, উথলে যথা তপ্ত-পাত্রে পয়ঃ
উচ্ছ্বাসিয়া ধূমপুঞ্জ, ত্রস্ত অগ্নিতেজে!
নাহি শোভে দিনমণি সে আকাশদেশে;
কিম্বা চন্দ্র, কিম্বা তারা; ঘন ঘনাবলী,
উগরি পাবকরাশি, ভ্রমে শূন্যপথে