পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৮
মেঘনাদবধ কাব্য

রোধিয়াছি নাসাপথ তোমার, নহিলে
নারিতে তিষ্ঠিতে হেথা, রঘুশ্রেষ্ঠ–রথি।
কিম্বা চল যাই, যথা অন্ধতমকূপে
কাঁদিছে আত্মহা পাপী হাহাকার-রবে
চিরবন্দী।” করপুটে কহিলা নৃপতি;—
“ক্ষম ক্ষেমঙ্করি, দাসে। মরিব এখনি
পরদুঃখে, আর যদি দেখি দুঃখ আমি
এইরূপ। হায়, মাতঃ! এ ভবমণ্ডলে
স্বেচ্ছায় কে গ্রহে জন্ম, এই দশা যদি
পরে? অসহায় নর; কলুষকুহকে
পারে কি গো নিবারিতে?” উত্তরিলা মায়া;—
“নাহি বিষ, মহেশ্বাস এ বিপুল-ভবে,
না দমে ঔষধে যারে। তবে যদি কেহ
অবহেলে সে ঔষধে, কে বাঁচায় তারে?
কর্ম্মক্ষেত্রে পাপসহ রণে যে সুমতি,
দেবকুল অনুকূল তার প্রতি সদা;—
অভেদ্য-কবচে ধর্ম্ম আবরেন তারে।
এ সকল দণ্ডস্থল দেখিতে যদ্যপি,
হে রথি! বিরত তুমি, চল এই পথে।”
কতদূরে সীতাকান্ত পশিলা কান্তারে—
নীরব, অসীম, দীর্ঘ; নাহি ডাকে পাখী
নাহি বহে সমীরণ সে ভীষণ বনে,