পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম সর্গ
২৩৯

না ফোটে কুসুমাবলী—বন-সুশোভিনী।
স্থানে স্থানে পত্রপুঞ্জে ছেদি প্রবেশিছে
রশ্মি, তেজোহীন কিন্তু রোগিহাস্য যথা।
লক্ষ লক্ষ লক্ষ প্রাণী সহসা বেড়িল
সবিস্ময়ে রঘুনাথে, মধুভাণ্ডে যথা
মক্ষিকা। সুধিলা কেহ সকরুণ–স্বরে;—
“কে তুমি শরীরি? কহ, কি গুণে আইলা
এ স্থলে? দেব কি নর, কহ শীঘ্র করি?
কহ কথা; আমা সবে তোষ, গুণনিধি,
বাক্য-সুধা-বরিষণে। যে দিন হরিল
পাপপ্রাণ যমদূত, সে দিন অবধি
রসনা-জনিত ধ্বনি বঞ্চিত আমরা।
জুড়াল নয়ন হেরি অঙ্গ তব, রথি,
বরাঙ্গ, এ কর্ণদ্বয়ে জুড়াও বচনে।”
উত্তরিলা রক্ষোরিপু;—“রঘুকুলোদ্ভব
এ দাস, হে প্রেতকুল! দশরথ রথী
পিতা, পাটেশ্বরী দেবী কৌশল্যা জননী;
রামনাম ধরে দাস; হায়, বনবাসী
ভাগ্যদোষে! ত্রিশূলীর আদেশে ভেটিব
পিতায়, তেঁই গো আজি এ কৃতান্তপুরে।”
উত্তরিলা প্রেত এক; “জানি আমি তোমা
শূরেন্দ্র! তোমার শরে শরীর ত্যজিনু