পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪০
মেঘনাদবধ কাব্য

পঞ্চবটী বনে আমি।” দেখিলা নৃমণি
চমকি মারীচ রক্ষে—দেহহীন এবে!
জিজ্ঞাসিলা রামচন্দ্র; “কি পাপে আইলা
এ ভীষণ-বনে, রক্ষঃ, কহ তা আমারে?”
“এ শাস্তির হেতু, হায়,পৌলস্ত্য়-দুর্ম্মতি,
রঘুরাজ।” উত্তরিলা শূন্যদেহ-প্রাণী;—
“সাধিতে তাহার কার্য্য বঞ্চিনু তোমারে,
তেঁই এ দুর্গতি মম।” আইল দূষণ–
সহ খর (খর যথা তীক্ষ্ণতর অসি
সমরে, সজীব যবে) হেরি রঘুনাথে,
রোষে, অভিমানে দোঁহে চলি গেলা দূরে,
বিষদন্ত-হীন অহি হেরিলে নকুলে
বিষাদে লুকায় যথা। সহসা পূরিল
ভৈরব-আরবে বন, পলাইল রড়ে
ভূতকুল শুষ্ক পত্র উড়ি যায় যথা,
বহিলে প্রবল ঝড়। কহিলা শূরেশে
মায়া;—“প্রেতকুল শুন রঘুমণি!
নানাকুণ্ডে করে বাস, কভু কভু আসি
ভ্রমে এ বিলাপ-বনে, বিলাপি নীরবে।
ওই দেখ যমদূত খেদাইছে রোষে
নিজ নিজ স্থানে সবে।” দেখিলা বৈদেহী—
হৃদয়কমলরবি, ভূত পালে পালে,