পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৮
মেঘনাদবধ কাব্য

দিয়া পাড়ী জলারণ্যে, আশু ভেটে তারে
কুসুমবনজনিত পরিমলসখা
সমীর; জুড়ায় কাণ শুনি বহুদিনে
পিককুল-কলরব, জনরব-সহ—
ভাসে সে কাণ্ডারী এবে আনন্দ-সলিলে।
সেইরূপে রঘুবর শুনিল অদূরে
বাদ্যধ্বনি! চারিদিকে হেরিলা সুমতি
সবিস্ময়ে স্বর্ণসৌধ, সুকাননরাজী
কনক-প্রসূন-পূর্ণ;—সুদীর্ঘ সরসী,
নবকুবলয়ধাম! কহিলা সুস্বরে
মায়া;—“এই দ্বারে, বীর! সম্মুখসংগ্রামে
পড়ি, চিরসুখ ভুঞ্জে মহারথী যত।
অশেষ, হে মহাভাগ! সম্ভোগ এ ভাগে
সুখের। কানন-পথে চল ভীমবাহো!
দেখিবে যশস্বীজনে, সঞ্জীবনী-পুরী
যা সবার যশে পূর্ণ, নিকুঞ্জ যেমতি
সৌরভে। এ পুণ্যভূমে বিধাতার হাসি
চন্দ্র-সূর্য্য-তারারূপে দীপে, অহরহঃ
উজ্জ্বলে!” কৌতুকে রথী চলিলা সত্বরে,
অগ্রে শূলহস্তে মায়া। কতক্ষণে বলী
দেখিলা সম্মুখে ক্ষেত্র—রঙ্গভূমিরূপে
কোন স্থলে শূলকুল শালবন যথা