পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫০
মেঘনাদবধ কাব্য

বৃত্র-আদি দৈত্য যত, বিখ্যাত জগতে।
সুন্দ উপসুন্দ দেখ, আনন্দে ভাসিছে
ভ্রাতৃ-প্রেম-নীরে পুনঃ।” সুধিলা সুমতি
রাঘব;— “কেন না হেরি, কহ দয়াময়ি!
কুম্ভকর্ণ, অতিকায়, নরান্তক (রণে
নরান্তক) ইন্দ্রজিৎ আদি রক্ষঃশূরে?”
উত্তরিলা কুহকিনী;— “অন্ত্যেষ্টিব্যতীত
নাহি গতি এ নগরে, হে বৈদেহীপতি!
নগর-বাহিরে দেশ, ভ্রমে তথা প্রাণী,
যতদিন প্রেতক্রিয়া না সাধে বান্ধবে
যতনে;—বিধির বিধি কহিনু তোমারে।
চেয়ে দেখ, বীরবর! আসিছে এ দিকে
সুবীর; অদৃশ্যভাবে থাকিব, নৃমণি!
তব সঙ্গে; মিষ্টালাপ কর রঙ্গে তুমি।”
এতেক কহিয়া মাতা অদৃশ্য হইলা।
সবিস্ময়ে রঘুবর দেখিলা বীরেশে
তেজস্বী; কিরীট চূড়ে খেলে সৌদামিনী,
ঝল ঝলে মহাকাশে, নয়ন ঝলসি,
আভরণ! করে শূল, গজপতিগতি।
অগ্রসরি শূরেশ্বর সম্ভাষি রামেরে,
সুধিলা; “কি হেতু হেথা সশরীরে আজি,
রঘুকুলচূড়ামণি? অন্যায়, সমরে