পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৭৪
মেঘনাদবধ কাব্য

রাবণ;—বিশদ-বস্ত্র, বিশদ-উত্তরী,
ধুতূরার মালা যেন ধূর্জ্জটির গলে;
চারিদিকে মন্ত্রিদল নতভাবে।
নীরব কর্ব্বু র-পতি অশ্রুপূর্ণ-আঁখি,
নীরব সচিববৃন্দ, অধিকারী যত
রক্ষঃশ্রেষ্ঠ। বাহিরিল কাঁদিয়া পশ্চাতে
রক্ষোপুরবাসী রক্ষঃ—আবাল-বনিতা–
বৃদ্ধ; শূন্য করি পুরী, আঁধার রে এবে
গোকুলভবন যথা শ্যামের বিহনে!
ধীরে ধীরে সিন্ধুমুখে, তিতি অশ্রুনীরে,
চলে সবে, পূরি দেশ বিষাদ-নিনাদে!
কহিলা অঙ্গদে প্রভু সুমধুর–স্বরে,—
“দশ শত রথী সঙ্গে যাও মহাবলী
যুবরাজ! রক্ষঃসহ মিত্রভাবে তুমি,
সিন্ধুতীরে। সাবধানে যাও, হে সুরথি!
আকুল পরাণ মম রক্ষঃকুলশোকে!
এ বিপদে পরাপর নাহি ভাবি মনে,
কুমার! লক্ষ্মণশূরে হেরি পাছে রোষে,
পূর্ব্ব-কথা স্মরি মনে কর্ব্বুরাধিপতি,
যাও তুমি, যুবরাজ! রাজচুড়ামণি,
পিতা তব বিমুখিলা সমরে রাক্ষসে,
শিষ্টাচারে, শিষ্টাচার, তোষ তুমি তারে!”