পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
মেঘনাদবধ কাব্য

পর্ব্বত-গহ্বরে সিংহ; বনহস্তী বনে;
ডুবিল অতল-জলে জলচর যত।
পবননন্দন হনু ভীষণ-দর্শন,
রোষে অগ্রসরি শূর গরজি কহিলা;—
“কে তোরা এ নিশাকালে আইলি মরিতে?
জাগে এ দুয়ারে হনু, যার নাম শুনি
থরথরি রক্ষোনাথ কাঁপে সিংহাসনে!
আপনি জাগেন প্রভু রঘুকুলমণি,
সহ মিত্র বিভীষণ, সৌমিত্রি কেশরী,
শত শত বীর আর—দুর্দ্ধর্ষ সমরে।
কি রঙ্গে অঙ্গনাবেশ ধরিলি দুর্ম্মতি?
জানি আমি নিশাচর পরম মায়াবী।
কিন্তু মায়াবল আমি টুটি বাহুবলে,—
যথা পাই মারি অরি ভীম-প্রহরণে।”
নৃ-মুণ্ডমালিনী-সখী (উগ্রচণ্ডা ধনী)
কোদণ্ড টঙ্কারি রোষে কহিলা হুঙ্কারে;—
“শীঘ্র ডাকি আন্ হেথা, তোর সীতানাথে,
বর্ব্বর! কে চাহে তোরে, তুই ক্ষুদ্রজীবী!
নাহি মারি অস্ত্র মোরা তোর সম জনে
ইচ্ছায়। শৃগালসহ সিংহী কি বিবাদে?
দিনু ছাড়ি; প্রাণ ল’য়ে পালা বনবাসি
কি ফল বধিলে তোরে অবোধ! যা চলি,