পাতা:সতুর মা.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলক্ষণ না। অনেক ডাক্তারি কবিরাজী হাকিমি হোমিওপ্যাথিক ও টোটুকা ঔষধ খাইবার পর ঠাকুরের ‘দোর ধরিয়া’ অনেক বয়সে তাহার একটী কন্যা হইয়াছিল, সেই কন্যাই র্তাহার জগতে মুখ, নয়নের আনন্দ। তাই রমা আদর করিয়া তাহার নাম রাখিয়াছিলেন—নয়নতারা । নয়নতারাকে নয়নান্তরালে রাখা কষ্টকর ভাবিয়া জামাই মেয়েকে চিরদিন যাহাতে নিজের কাছে রাখিতে পারেন এমন দেখিয়া শুনিয়াই তাহার কন্যার বিবাহ দিয়াছিলেন সুতরাং মেয়ে জামাই তাহার কাছেই ছিল। শোভন যখন রমাদেবীর সঙ্গে আসিল, নয়নতারার বয়স তখন সতের আঠার বৎসর। তাহার কোলে তখন একটী খোকা । তাহার স্বামী মন্মথনাথ তখন কলেজে -আইন পড়িতেছেন আর পিতা তাহার আদুরে নাতিটর সঙ্গে খেলা করিয়া জীবনের শেষদিনগুলা কাটাইবেন বলিয়া পেন্সন লইবার চেষ্টা করিতেছেন। রমাদেবী গৃহে আসিয়াই প্রথমে শোভনার হাতের কাচের চুড়িগুলা ভাঙ্গিয়া গিনি সোণার গাছ কয়েক ঝকঝকে নুতন চুড়ি ও এক ছড়া হার তাহাকে পরাইয়া দিলেন, পা হইতে মাথা পৰ্য্যন্ত নিজের হাতে সাবান দিয়া ধুয়াইয়া মুছাইয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া নূতন জ্যাকেটু ১৩৬