এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতুর মা

  • বঞ্চিত করিয়া নিজে স্বর্থী হইতে কোন মতেই সম্মত হইলেন না । কিন্তু পঙ্কজিনীর চোখের জল তাহার নীতিকঠোর হৃদয় গলাইয়া দিল। ক্রমে পঙ্কজিনীর মন শিশুর প্রতি যতই আকৃষ্ট হইতে লাগিল ততই তাহার নিৰ্ম্মল হৃদয় ধীরে ধীরে স্বার্থপঙ্কিল হইতে লাগিল। উভয়েরই বিবেক অজ্ঞাতসারে মলিন হইয়া আসিল ।

অবশেষে পঙ্কজিনী অর্থের দ্বারা নবদুর্গাকে বশীভূত করিয়া সন্তানটিকে লইবার সঙ্কল্প করিলেন। স্বামীর নিকট তিনি আগন অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিলে এবার তিনিও সম্মতি দিলেন। নবদুর্গা ভদ্রঘরের মেয়ে দারিদ্র্যদুঃখে পড়িয় অন্নের কাঙাল হইয়াই না আজ তাহার গৃহে দাসীবৃত্তি করিতে আসিয়াছে, তাহার ছেলে লইতে দোষ কি ? লইতে দোষ নাই, কিন্তু দেয় কে ? উভয়ের মনে প্রশ্ন উঠিল, নবদুর্গ কি সত্ব ছাড়িয়া সন্তানটিকে তাহদের দিতে পরিবে ? স্বামী স্ত্রীর মনে নব আশা জাগিল, পঙ্কজিনীর অন্য চিন্ত দূরে গেল, নিশিদিন ঐ এক চিন্তাতেই তিনি বিভোর হইয়া রহিলেন ; সতুকে অবলম্বন করিয়া কত আনন্দপ্রদ কল্পনা তাহার অন্তর ব্যাপিয়া রহিল। কল্পনা; ক্রমে সত্যে পরিণত হইল। দুঃখিনীর সন্তান সৌভাগ্যবতীর অঙ্কে স্থান পাইল । বহু চেষ্টার ফলে و)