এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতুর মা নিঃশঙ্কচিত্তে পরের দাসত্ব স্বীকার করিতে পারিয়াছিল— দরিদ্র স্বামীর মৃত্যুর পর ডাক্তার কবিরাজের ঋণ পরিশোধে কপর্দকশূন্ত হইয়াও নিজেকে অমূল্য সম্পত্তির অধিকারিণী বোধে শত দুঃখ, দৈন্তেও নিশ্চিন্ত ছিল, তাছার অমূল্য সম্পত্তি সেই সতুধন আজ অস্যের হইল, সতুর উপর তাহার দাবি দাওয়া কিছুই রহিল না, নিজের অবশিষ্ট সম্বল পরহস্তে তুলিয়া দিয়া আজ দীন কাঙ্গালিনী নবদুর্গ কৰ্ত্ত গৃহিণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিতান্ত সঙ্কুচিতভাবে মজুমদার ভবনের একপ্রান্তে রন্ধন গৃহের পার্শ্বে ক্ষুদ্র একখানি টিনের ঘর অধিকার করিয়া রহিল। যদিও নবদুর্গা বুঝিয়াছিল তাহার সতু এখন হইতে মজুমদার-দম্পতিরই নিজস্ব হইল, তাহার আর সন্তানের উপর কোন দাবি-দাওয়া রহিল না, এমন কি, তাহাকে ‘আমার বলিবার অধিকারটুকু পৰ্য্যন্ত সে হারাইল, তবু সতু যে তাহার নয়ন সম্মুখেই রহিল, নিঃসন্তান ধনী দম্পতির স্নেহরাজ্যে একাধিপত্য লাভ করিয়া অতুল সাহাগে, অসীম যত্নে প্রতিপালিত হওয়ায় এক সময়ে সতুর মে স্বকুমার দেহু উপযুক্ত দুগ্ধ ও শয্যা বসনাদির অভাবে শীর্ণ মলিন হইতেছিল এখন দিনে দিনে মাসে মাসে সেই দেহে অপূর্ব লাবণ্যের বিকাশ হইতে লাগিল, তাহাতেই নবদুর্গার মনে 2