এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झडूर्श পরিচ্ছেদ। রাজেন্দ্র এখন ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট। ধনীর গৃহিণী— ম্যাজিষ্ট্রেটের জননী পঙ্কজিনী, তাহার মুখের সীমা— ঐশ্বর্যের অবধি নাই। র্তাহার স্বাস্থ্য অটুট, মুখ নিরক চ্ছিন্ন, গর্ব অক্ষুণ্ণ । সকল সৌভাগ্য লাভ করিয়া মনের সাধে পঙ্কজিনী সংসারে সকলের উপর প্রভুত্ব করিতে লাগিলেন। আর নবদুর্গা আত্মগোপন করিয়া নিতান্ত দীনভাবে দাসী-মহলে দাসীরূপে দিনাতিপাত করিতে লাগিল । কিন্তু হায় ! পঙ্কজিনীর এত সাবধানতা সতর্কতা সকলি বৃথা হইল! এত সুখ বেশী দিন তাহার ভাগ্যে সহিল না ! রাজেন্দ্রের বিবাহের তিন বৎসরের মধ্যে মজুমদার মহাশয়ের মৃত্যু হইল। পঙ্কজিনীর সকল আশা ভরসা আৰুনা যেন সেই সঙ্গেই অন্তৰ্হিত হইল। স্বামীর মৃত্যুর অব্যবহিত পরে শোকের তীব্রতার মধ্যেই পঙ্কজিনী আপন বৰ্ত্তমান অবস্থা ও নবদুর্গার প্রতি নিজের সুদীর্ঘ কালের অনুচিত আচরণ স্মরণ করিয়া মনে মনে শঙ্কিত হইয়া উঠিলেন। এখন ? এখন যদি নবদুর্গ সেই দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ লয় ? 08