এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতুর ম৷ করিল, যাহার চক্ষু এ পবিত্র দৃশ্য দর্শন করিল সেই সবিস্ময়ে বলিল—“মাগী কি ভাগ্যিমানী গে৷ ” রাজেন্দ্রের কাণ্ড দেখিয়া অনেকেই ভাবিল ডেপুটী বাবু আজ পাগল হলেন নাকি ? নিজের মায়ের চেয়ে একটা চাকরাণীর মরণের যে দেখচি বেশী ঘটা ! গঙ্গাযাত্রির ঘরে নবদুর্গ কোন ক্রমেই থাকিতে সম্মত হইলেন না। রাজেন্দ্ৰ বুঝিলেন—আজ র্তাহার মা জননীর মুক্তির দিন, সংসারের বন্দীখানায় চিরজীবন ভয়ে ভয়ে কাটাইয়াছেন, আজ ভয় ভাবনা শূন্ত হইয়া জাহ্নবীমা’র চরণসৈকত হইতে একেবারে মরণ কোলে আশ্রয় লইবেন। স্বসন্তান নীরবে জননীর অন্তিম আদেশ পালন করিলেন । আনন্দধামের যাত্রী নবদুর্গ আজ ভাগীরথীর বিস্তৃত শীতল বালুতটে মৃত্তিক উপাধানে শয়ন করিয়া পরিপূর্ণ প্রাণে, যুক্তকরে মধুর হরিনাম গান শ্রবণ করিতে করিতে চিরশান্তি দায়িনীর আগ্রমন অনুভব করিতে লাগিলেন । দেৱালয় সমূহের সচনন পুষ্পমাল্য ধূপ ধূনার স্বগন্ধ বহন করিয়া জাহ্নবীর স্নিগ্ধবায়ু তাহার রোগক্লিষ্ট দেহের উপর দিয়া বহিতে লাগিল, জোয়ারের জল প্রতি মুহূৰ্ত্তে র্তাহার দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। ఆట్ర