Xe"> করিয়। ঐ সকল জয়বৃত্তান্ত কহিলেন। হায় ২ ! এই যে তাহার হর্ষের্ণদয় কেবল ক্ষণিক হইল ; কেননা তখন তাহার পিতা তিত সমস্ত সেনাকে আহ্বান করিয়া তাহণদের সাক্ষাতে আপন পুত্রকে কহিলেন; যে “হে পুত্র, তুদি অন্য সৈন্যবিষয়ক নিয়ম ও পিতার গ্রাদেশ লঞ্জন করিয়াছ, এই অপরাধ প্রযুক্ত কর্তৃত্বপদের লঘুতা হয়," অতএব তুমি প্রাণ দণ্ড দিয়া ঐ লঘুতার পুঠিকার করণ তুমি মহা সাহসিক যোদ্ধা তৎপ্রযুক্ত আমার প্রিয় পাত্র বট, কিন্তু ন্যায়বৰ্ত্তি মানুষ আমার ততাধিক প্রিয়তম ; অতএব যদ্যপি তুমি আমীর সঃ পুত্র হও তবে ন্যায়ানুসারে মরণদণ্ড স্বীকার করিব । হে সৈন্যগণ, ইহাকে লইয়া বন্ধন গম্ভ কর। তথম ঐ যুৱ পুত্ৰ মহা বিমৰ্ষ হইলেন ; কিন্তু যেমন পর্বে শতুর বিরুদ্ধে প্রতীপ পর্বক যুদ্ধ করিয়াছিলেন, তেমনি নমতা পৰ্ব্বক পিতার আজ্ঞাদ্ধারণ প্রাণদণ্ড স্বীকার করিলেন। তন্দ্রপ তাহার অকাল মতু দেখিয়া সমস্ত সৈন্য হাহাকার করিতে লাগিল। এই যে পুত্রের প্রতি পিতার শাসনকৰ্ম্ম, তাহ। লোকদের বিবেচনাতে কি রূপ ইয় ? এই পিতা আপন পিতার ও-সেনাপতির অণজ্ঞাবৃত্তী ছিলেন, এই কারণ আপন পুত্রকে অনুজ্ঞাবন্ধুিতা প্রযুক্ত প্রাণদণ্ড করণ অন্যায্য নয়। তথাপি তাহার সাহসাধিক প্রযুক্ত দোঘের’ক্ষম করণ উচিত ছিল, যেহেতুক কেবল ন্যায় কৰ্ম্ম কঙ্কণ মনুষেরু কৰ্ত্তব্য, এমত নয়, কিন্তু ক্ষমা করণও আরশ্যক বটে। যদি উদাসীনের পুতি দয়ার কৰ্ত্তব্যতা আছে, তবে স্বজনের প্রতি দয়া করণে হামি কি ?
পাতা:সত্য ইতিহাসসার.djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।