৪ অধ্যায়।] ত্রিদেব সৰ্ব্বজ্ঞ নহেন । 9& তিনি তাহ জানিলেন না। পুনশ্চ লেখা আছে, যে মহাপ্রলয়ের সময়ে বেদ সকল জলেতে ডুবিয়াছিল, তাহাতে ব্ৰহ্মা তাহা না দেখিয়া সৃষ্টিকে সৃজন করিতে পারিলেন না ; এই নিমিত্ত্বে বিষ্ণু মৎস্য অবতার হইয়া সহস্ৰ কংসর পৰ্য্যন্ত অনুসন্ধান করিলে পর তাহার, উদ্দেশ পাইলেন, পরে সৃষ্টিকৰ্ম্ম নিৰ্বাহ হইল। পুনশ্চ, শিবের বিষয়ে লেখা আছে, তিনি কামান্ধ হইয়া বিষ্ণুকর্তৃক প্রবঞ্চিত হইলেন। এমতই কথাদ্বারা নিশ্চর জানা যাইতেছে, যে ব্ৰহ্মা বিষ্ণু ও মহাদেব অন্তর্যামী আর সৰ্ব্বজ্ঞানী কখন হইতে পারেন না। পুনশ্চ ত্রিদেবকে অন্তর্যামী ও সৰ্ব্বজ্ঞ বলির কী প্রকারে ঠাহরান যায়? তাহাদের মধ্যে কেহ মাতাল, কেহ বা হত্যাকার ও চোর হইলেন; আর তিন জনই কাম ক্রোধ লোভ মোহেঁতে আসক্ত হইয়া কেহ আপনার কুটুম্বের পত্নী আর কেহ বা অন্য লোকদের স্ত্রীগণের সহিত ব্যভিচারাদি কুকৰ্ম্ম করিয়া অজ্ঞানী হইতেন। এমত ব্যক্তিরা যে সৰ্ব্বজ্ঞ এবং অন্তর্যামী, ইহা নিতান্তই অসম্ভব কথা । কথিত আছে, ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ, অথবা তা
পাতা:সদ্ধর্ম্ম নিৰূপণ - প্রথম ভাগ.djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।