৪ অধ্যায় ] রাম ও কৃষ্ণ সৰ্ব্বজ্ঞ নহেন। ○ 今 রক্ষা করিয়াছে কি না । পরে যখন রাবণের সহিত সংগ্রাম হইতেছিল, তখন তিনি আপনি কিছু জ্ঞাত না হইয়া হনুমান আর অঙ্গদাদি চরদ্বারা সকল সমাচার পাইতেন। রাবণ মরিয়া গেলে তাহার স্ত্রী মন্দোদরী রোদন করিতে ২ রামের নিকটে আইল; তাল্লাতে তিনি তাহার বৃত্তান্ত না জানিয়া তাহাকে বর দিয়া কহিলেন, “যাও ! তোমার আইয়ত সদা থাকিবে।” এই সকল কথা রামায়ণে লেখা আছে। কৃষ্ণেরও সৰ্ব্বজ্ঞ হওয়া শাস্ত্রদ্বারা প্রামাণ্য হইতে পারে না । লিখিত আছে, এক সময়ে সাল রাজা র্তাহাকে প্রবঞ্চনা করিয়া কছিল, আমি তোমার পিতা বসুদেবকে বন্দিগৃহে ফেলিয়া রাখিয়াছি। এই কথা শ্ৰুতমাত্র তিনি শোকপূৰ্ব্বক বিল্লাপ করিয়া বড় রোদন করিতে লাগিলেন। এখন বিচার করা আবশ্যক, কৃষ্ণ যদি সৰ্ব্বজ্ঞ ও অন্তর্যামী হইতেন, তবে তাহার এমত ভ্রম কেন হইল ? অার কেন মিথ্যা বিলাপ করত রোদন করিলেন ? অবশেষে মহাভারতে লেখা আছে, কৃষ্ণ আপনি অজ্ঞাতসারে জরা ব্যাধের বিষাক্ত বাশদ্বারা হত হইলেন। 属
পাতা:সদ্ধর্ম্ম নিৰূপণ - প্রথম ভাগ.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।