পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 সন্ধৰ্ম্মসঙ্কাশক । মহাজন, কিন্তু এ উত্তরও যুক্তিসঙ্গত হয় না। কারণ যুধিষ্ঠির যৎকালে ঐ শ্লোক বলিয়াছিলেন এবং মহাভারত ষে সময়ে রচিত হইয়াছিল, তৎকালে যীশু ও মহম্মদ প্রভৃতির জন্ম হয় নাই, সুতরাং উহার যুধিষ্ঠিরের অথবা মহাভারত রচয়িতার অভিপ্রেত মহাজন-শব্দবাচ্য হইতে পারেন না। যুধিষ্ঠিরের পূৰ্ব্বে বা তৎ সময়ে মহাজন-পদবাচ্য যে সকল ব্যক্তি ছিলেন, বোধ করি তন্মধ্যে কেহই জাতিভেদের অনাবশ্বকতা স্বীকার করেন নাই। গ্রন্থকর্তা সুমতি নাম ধারণ পূর্বক শিষ্যগণের উপদেশস্থলে মম্বাদি ধৰ্ম্মপুস্তকের প্রমাণ আহরণ করিয়া ষে গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন, সেই গ্রন্থ উক্ত সকল ধৰ্ম্মপুস্তকের মতবিরুদ্ধ হইয়াছে—কেবল এইমাত্র দেমি নহে, এই গ্রন্থের পূর্বাপর অসংলগ্ন ও বিরুদ্ধ এবং কোন কোন স্থলে প্রাচীন বচনের প্রকৃত অর্থ ও তাৎপৰ্য্য গোপন করিয়া স্বকপোল কম্পিত অর্থ করা ইত্যাদি দোষও জাজ্বল্যমান দেখা যায় । প্রথমতঃ তিনি তৃতীয়াধ্যায়ের প্রথম শ্লোকে লিখিয়াছেন “ পূৰ্ব্বকালে এই ভারতবর্ষে সদ্ধৰ্ম্মের প্রচার থাকা নিবন্ধন ধর্শ্বের অতিশয় গৌরব ছিল, তন্নিমিত্তই এই ভারতবর্ষকে পুণ্যক্ষেত্র বলাযায় ” ইহঁ লিখিয়াই মূৰ্ব্বকালের ধৰ্ম্মবৰ্ণনা উপলক্ষে ২৭ শ্লোক অৰধি ৪১ শ্লোক পৰ্য্যন্ত মমু ও পরাশর সংহিতার প্রমাণদ্বারা জাতিভেদ এবং যে জাতির ষে ষে ধৰ্ম্ম ও ব্যবসায় তৎ সমস্ত ও তাহাদিগের আপঙ্কর্মের নিৰূপণ করিয়াছেন এবং পূৰ্ব্বকালের সন্ধৰ্ম্ম বর্ণনা উপলক্ষে মহা