পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8 সন্ধৰ্ম্মসঙ্কাশক । বর্ণত্রয়ের অমুগত ছিল, সুতরাং পরস্পর বিরোধ হইলেও সেই বিরোধ ঐ দ্বিজাতিগণ ভঞ্জন করিয়াদিতেন” । সুতরাং তদ্বিষয়ে অধিক দণ্ডীদওঁী হইত না । তাহার এই সকল উক্তি স্বারাই প্রকাশ হইতেছে, খুদ্রাদির পক্ষে ব্রহ্মচিন্তন সন্ধৰ্ম্ম ছিলনা এবং পূৰ্ব্বেও জাতিভেদ ছিল ও সেই জাতিভেদ অনুসারে ধৰ্ম্মেরও প্রভেদ ছিল ৷ কিন্তু অষ্টম অধ্যায় লিথিবার সময়ে ঐ আগু বাক্য বিস্তৃত হইয়া লিখিয়াছেন-পুৰ্ব্বে জাতিভেদ ছিলনা, সকলেই একজাতিভুক্ত ছিল, জাতিভেদ আধুনিক, কাল্পনিক, দেশের অনিষ্টকর ও পাপকর ইত্যাদি । এক্ষণে পাঠকেরাই বিবেচনা করুন গ্রন্থকারের কোন বাক্য অবলম্বনীয় । যিনি আপন বচনেরই স্থৈৰ্য্য রাখিতে অক্ষম, তিনি কোন সাহয়ে ধৰ্ম্মোপদেশ দিতে উদ্যত হইয়ছেন, তাহ জগদীশ্বরই বলিতে পারেন। তিনি ঐ অধ্যায়ের ৩০ শ্লোকে লিখিয়াছেন— - “ পরন্তু যে জনা আসন ব্রহ্মোপাসন-তৎপরাঃ । তেষামপি ন সৰ্ব্বেষাং সন্মতিঃ সাত্বিকী সদা ॥ পরন্তু যে ষে মানবগণ ব্রহ্মোপাসনতৎপর তাছাদের মধ্যেও সকলের সাত্বিকী শ্রদ্ধা দেখিতেছি না” কি আশ্চর্য্য, যাহার সাত্বিকী শ্রদ্ধা নাই তিনি ব্রহ্মোপাসনে তৎপর,এ কথা কোন বিজ্ঞব্যক্তি মুখে আনিতে পারেন এবং কোন ৰিজ্ঞ লোকেই বা তাহ গ্রাহ করেন ? সাত্বিকী শ্রদ্ধা না থাকিলে ব্রহ্মোপাসনে তৎপরত কি প্রকারে সম্ভব হইতে পারে,তাহ পণ্ডিতেরাই বিবেচনা করুন। ৩১ শ্লোকে লিথিয়াছেন— ·