পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ সদ্ধ লঙ্কাশক হইতে পারে। যথার্থ সন্ধৰ্ম্ম চিন্তনকার্য্যে প্রাণত্যয় হইলেও বুদ্ধিশীল দৃঢ়তর নিশ্চয়যুক্ত মানবগণ তদ্বিষয় ত্যাগ করেন না ”। এতদ্বারা সুমতি মহাশয় বিলক্ষণ অধ্যবসায়ের পরিচয় দিয়া নব্যসম্প্রদায়কে যথেষ্ট উৎসাহ প্রদান করিয়াছেন। এক্ষণে আমরা জিজ্ঞাসা করি যিনি শিষ্যগণকে এই সকল তত্ত্বজ্ঞানের উপদেশ দিতেছেন, তিনি স্বয়ং এক জন তত্ত্বজ্ঞানী কি না ? যদি তত্ত্বজ্ঞানী হইয়া থাকেন তবে * * * * প্রায়শ্চিত্ত করাইয়া * * * সমাজে অধিবেশন করাইবার কি প্রয়োজন ছিল। সুমতি মহাশয় স্বগ্রন্থের সপ্তমাধ্যায়ে ব্রহ্মোপাসনার প্রাধান্তাদি বর্ণন উপলক্ষে মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রের যে সমস্ত প্রমাণ প্রকাশ করিয়াছেন, তৎ সমুদায় তাহার গ্রন্থরচনার উদ্দেশ্বের বিপরীত হইয়াছে। তিনি দ্বিতীয় শ্লোকে লেখেন— “ যস্ত কর্ণপথোপাস্ত প্রাপ্তো মন্ত্র মহামণিঃ। ধন্য মাত পিতা ভস্ত পবিত্ৰং তং কুলং শিবে। হে শিবে ! যিনি ব্রহ্মমন্ত্রে (মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রোক্ত ব্ৰহ্মমন্ত্রে) দীক্ষিত হন, তাহার মাতৃ পিতা ধন্ত এবং সেই কুল পবিত্র "এক্ষণে পাঠকগণ বিৰেচন করুন, আধুনিক ত্রাঙ্কের (র্যহাদের অনুরোধে সুমতি মহাশয় এই গ্রন্থ রচনা করেন ) মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রোক্ত ব্ৰহ্মমন্ত্রে দীক্ষিত কি না ? যাহারা শাস্ত্রোক্ত বিধানক্রমে যথার্থ ব্রহ্মমন্ত্রে দীক্ষিত হন, তাহার ধন্য, ইহা আমরা অবশু-স্বীকার করি (পূৰ্ব্বেও এতদ্বিষয়ের উল্লেখ হইয়াছে) কিন্তু র্যাহারা মহানিৰ্ব্বাণত স্ত্রোক্ত মস্ত্রে দক্ষিত না হইয়া জাতিনাশ তন্ত্রে ও ধৰ্ম্মনাশ তন্ত্রানুসারে