পাতা:সদ্ধর্ম্ম সঙ্কাশক.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ゲ সন্ধৰ্ম্মসঙ্কাশক । ৰোধে উপাসনা হয় ন৷ ” ইত্যাদি। মুমতি মহাশয়ের এই সকল লেখার দ্বারা কেবল অনভিজ্ঞতা ও অদুরদর্শিত প্রকাশ হইতেছে । প্রথম অনভিজ্ঞতা এই, ইনি মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রোক্ত বচনের প্রকৃতাৰ্থ অববোধ করিতে পারেন নাই। যেহেতু লিথিয়াছেন “ ৰূপ-নাম দি কলপনা পরিত্যাগ করিয়া যিনি ব্রহ্মনিষ্ঠ হন তিনি মুক্তি লাভ করেন। ভাল, স্টাফার রূপ কম্প না না করিয়া বরং অৰূপ কণপমাই করা গেল, কিন্তু জিজ্ঞাম করি নামকম্পন পরিত্যাগ করিয়া নির্ণাম কম্পনা করিলে কি বলা যাইতে পারে : ঈশ্বর, ব্রহ্ম, পরমাত্মা, সচ্চিৎ, ও তৎ প্রভৃতি সকলই তাহার নাম । এই সকল নাম কপেন পরিত্যাগ করিলে তিনি কোন শব্দের বাচ্য কইবেন ? কোন শব্দের বাচ্য না হয় এমন পদার্থ কি ? তাহাকে কি ৰলিয়া স্মরণ করিতে হইবে, তাছার কিছু উপায় না করিয়া নাম কম্পন ত্যাগের উপদেশ দেওয়া কেবল প্রলাপ মাত্র । দ্বিতীয়, অদুরদর্শিত ;–অস্ত অন্য শাস্ত্রের কথা দুরেথাকুক, মুমতি মহাশয় যে মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্র অবলম্বন করিয়া গ্রন্থ রচিয়াছেন, তাহারও সকল স্থল দর্শন করেন নাই । ফলতঃ তিনি যে মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ পূৰ্ব্বক অভিনব মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করিতে এত আয়াস স্বীকার করিয়াছেন, সেই তন্ত্রের এন্ধপ উদেশ্ব্য নহে যে, কালী তার প্রভৃতি ৰূপ নামদির কল্পনা করিলে ঈশ্বরের উপাসনা হয় না ; কিম্বা কোন দেবতার আরাধনা করিলে তাহার অভীষ্ট সিদ্ধ হয় না এবং কোন শাস্ত্রের অনুগত হইয়া ক্রি